শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

News Headline :
হোসেনপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ ইট বৃষ্টির মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে দৌড়ালেন শ্যামনগরের ইউএনও রণী খাতুন পাবনা ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডায় ৩ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা এবার রাজশাহীর বাগানগুলোতে ফুটছে আগাম আমের মুকুল সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের বাৎসরিক ফ্যামিলি ডে পালিত জব্দ ট্রাক ছাড়তে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী! ২০ হাজার টাকা দেওয়ায় হয়রানীর অভিযোগ গোদাগাড়ী থানার ওসি’র বিরুদ্ধে রাবি ক্যাম্পাসে মাথায় ব্যাডের আঘাতে রাজশাহী কলেজে শিক্ষার্থীর মৃত্যু! ভোলাহাটে জরিমানা করা সত্বেও ফের মাটিকাটার কাজ অব্যাহত!! রাজশাহীর পবায় ট্রাক চাপায় যুবদলকর্মী নিহত বদলগাছীতে নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

নেত্রকোনার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক

Reading Time: 2 minutes

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
বর্ষা মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হলেও গত চারদিন ধরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নেত্রকোনার এখনও কোথাও কোন এলাকা প্লবিত হয়নি, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, ‘আজ রবিবার উব্ধাখালি নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। এ ছাড়া সোমেশ্বরী, কংস ও ধনু নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে বইছে। তবে দুপুর নাগাদ জেলার নদ-নদীর তীরবর্তী কোনো নীচু এলাকা প্লাবিত হয়নি। হাওরাঞ্চলের খালিয়াজুরীতে একেবারে নীচু এলাকায় কিছু পানি গেলেও কোনো বাড়িঘরে পানি ঢুকেনি।’তিনি আরও জানান, ‘গত দুই দিনে জেলায় ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এ ধারা যদি অব্যাহত থাকে তবে জেলার কিছু নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও স্থায়ী বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে না। তবে হাওরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে লোকবল দেওয়া আছে। এলাকার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কলমাকান্দা সদরের বাসিন্দা রাজন সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ‘এখন বর্ষার ভর মওসুম চলছে। প্রথম দিকে বর্ষার পানি আসে নাই। কিন্তু গত চারদিনের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের পানিতে উব্ধাখালি নদী এখন পানিতে টইটম্বুর ফলে, এখন নৌকা ছাড়া চলাচল অসম্ভব হয়েগেছে। তিনি আরও জানান, পানি বাড়লেও এখনও নদীর পানি উপচে প্রবাহিত হয়নি বা নীচু এলাকা প্লাবিত হয়নি। কিন্তু এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। নেত্রকোনার সদর উপজেলাধীন তাতিয়র গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ মিয়া বলেন, এখন আষাঢ়ের মাঝামাঝি সময় চলছে। এতোদিনে নদীতে পানি এসেছে, এখন নদীতে মাছ আসবে নৌকায় যাতায়াত করতে পারবে মানুষ। বৃষ্টি আর ঢলের পানি এলেও আমাদের এলাকাতে এখনও বাড়িঘরে পানি ঢুকেনি। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, পাহাড়ি ঢল এবং সঙ্গে টানা বৃষ্টি হলেও এখন পর্যন্ত নেত্রকোনার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পানি বাড়লে কোনো এলাকা প্লাবিত হলে তা মোকাবেলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি আরও জানান, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় সভা করে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী মজুদ রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com